গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য করণীয়

Pathology Knowledge
0

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য করণীয়


বিশ্বের প্রতিটি নারীর স্বপ্ন থাকে সন্তান গর্ভধারণ করার পর সেই সন্তান যেন সুস্থ স্বাভাবিকভাবে পৃথিবীতে জন্ম নেয়।অধিকাংশ নারীরই স্বপ্ন থাকে সন্তান নরমাল ডেলিভারি মাধ্যমে পৃথিবীতে আসুক। কিন্তু অনেক সময় অনেকেই জানতে পারে না যে নরমাল ডেলিভারি সময় জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ সম্পর্কে। তাই আমাদের আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ, গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য করণীয়, জরায়ুর মুখ না খোলার কারণ ,গর্ভাবস্থায় জরায়ু ইনফেকশনের লক্ষণ এবং গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন সম্পর্কে।






আমরা আজ এই আর্টিকেলেআলোচনা করব গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য করণীয়



জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ



গর্ভাবস্থায় নরমাল ডেলিভারির সময় জরায়ুর মুখ খোলার কিছু লক্ষণ দেখা যায়। নিচে লক্ষণ গুলো দেওয়া হলঃ 


১.গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ ফুলে গেলে জরায়ুর মুখ বারবার সংকুচিত বা প্রসারিত হয়।

২.জরায়ুর মুখ বড় হয়ে যায়।

৩.অতিরিক্ত সাদা স্রাব যাওয়া বা সাদা স্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।

৪.বাচ্চা নিচের দিকে নেমে যাওয়া।

৫.তলপেটে ব্যথা হওয়া।

৬.পিঠে বা কোমরে ব্যথা হওয়া।

৭.পানি ভেঙ্গে যাওয়া।

৮.শরীরে অস্বস্তি বোধ হওয়া।


উপরোক্ত লক্ষণগুলি দেখা দিলে বুঝতে হবে জরায়ুর মুখ খুলে গেছে এবং নরমাল ডেলিভারির সময় হয়ে গেছে। তাই যত দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করতে হবে।



গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য করণীয়



গর্ভাবস্থায় ডেলিভারির সময় যারা মুখ খোলার জন্য গর্ভাবস্থার  শুরু থেকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে ডেলিভারির সময় সহজেই জরার মুখ খুলে যায়।


১.গর্ভাবস্থায় শুরু থেকে সুষম পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।

২.গর্ভাবস্থায় হালকা  ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করা।

৩.নিয়মিত রুটিন চেকআপ করা।

৪.নরমাল ডেলিভারির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া।

৫.গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে জরায়ুর মুখ খোলার সম্ভাবনা থাকে।



জরায়ুর মুখ না খোলার কারণ 


সার্ভিকাল স্টেনোসিসে, ম্যানোপজ বা জরায়ুর টিস্যু পাতলা হওয়ার কারণে  নরমাল ডেলিভারি সময় জরায়ুর মুখ খুলে না।



গর্ভাবস্থায় জরায়ু ইনফেকশনের লক্ষণ 



১.অতিরিক্ত সাদাস্রাব যাওয়া।

২.সাদা স্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া।

৩.ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

৪.তলপেট, পিঠে বা কোমরে ব্যথা হওয়া ।

৫.ফুল টাইম প্রেগনেন্সির আগে পানি ভেঙ্গে যাওয়া।

৬.শরীরে জ্বর জ্বর অনুভূত হওয়া।

৭.প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা।



গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেন



১.গর্ভাবস্থায় তলপেট ব্যথার অন্যতম কারণ হলো জরায়ু প্রসারিত হওয়া গর্ভের সন্তান জরায়ুর ভিতর বড় হতে থাকে। এর ফলে জরায়ু প্রসারিত হতে থাকে। 

২.গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিলে তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

৩.গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে তলপেট ব্যথা হতে পারে।

৪.গর্ভাবস্থায় গর্ভের সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে নড়াচড়া বেড়ে যায়। যার ফলে  তলপেটে টান অনুভূত হয়। ফলে ব্যথা অনুভূত হয়।



গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস কি খাওয়া উচিত



গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে আয়রন ক্যালসিয়াম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।এ সময় ওমেগা থ্রি বা ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে।গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে।গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে অতিরিক্ত চা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।এছাড়াও গর্ব অবস্থায় প্রথম তিন মাসে আনারস কাঁচা পেঁপে বা হাফ সেদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।




সর্বোপরি গর্ভাবস্থায় প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়ম কানুন মেনে চললে সুস্থ স্বাভাবিক সন্তান পৃথিবীতে আনা সম্ভব। তাই আমাদেরকে গর্ভাবস্থায় সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।

Tags:

Post a Comment

0Comments

Post a Comment (0)